০৬:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ানীবাজারে মৎস‍্যজীবি হাছিব হত‍্যাকারীদের শাস্তির দাবীতে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী নিয়ে বিশাল মানববন্ধন

হাছিব হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

print news -

বিশেষ প্রতিনিধি :

বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের আলীপুরে কুশিয়ারা নদীতে বালু উত্তোলনে ড্রেজার কর্মীদের ইটের আঘাতে নিহত আব্দুল হাসিব হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ সাজা, ফাঁসি দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈরাগীবাজার এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। রোববার(২৩ জানুয়ারী) সকালে বৈরাগীবাজারের খশির আব্দুল্লাহপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২০ জানুয়ারী অনুমান ৯ ঘটিকার সময় বিয়ানীবাজার থানাধিন ৪নং শেওলা ইউনিয়নের অন্তর্গত আলীপুর সাকিনস্থ বিলালা আহমদ(৬২) এর বসত বাড়ী সংলগ্ন পশ্চিম পাশে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীতে ড্রেজার শ্রমিকের ইটের আঘাতে নৈকা থেকে পড়ে নিখুজ হন। ২১ জানুয়ারী সকাল ৯.৩০ মিনিটের সময় বর্নিত ঘটনাস্থল কুশিয়ারা নদীর গভীর তলদেশ থেকে আব্দুল হাছিবের মৃত দেহ উদ্বার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরদিন রাতে তাঁর স্ত্রী মোছা: ছামিরা ইয়াছমিন(৩২) বাদী হয়ে ১। মো: রশিদ মিয়া(২০),পিতা: মো: কাদির মিয়া, সাং নাইলা(পারিশ্বর), থানা-শরাইল, জেলা: বি:বাড়ীয়, ২। মনির হোসেন(২৪), পিতা: মো: নুরুল হক, ৩। মো: সিরাজুল ইসলাম(৩৫), পিতা: মো: নুরুল হক, ৪। মো: আলম মিয়া(২৫), পিতা: মো: আক্তার মিয়া, সর্ব সাং-ফয়জুল্লাপুর, থানা- শাল্লা, জেলা: সুনামগঞ্জ। ৫। রাসেল গাজী(২০), পিতা: মো: গিয়াস উদ্দিন গাজী, ৬। মো: মনির(২২), পিতা: মো: ছাত্তার মিয়া, ৭। তানভীরুল ইসলাম(২০), পিতা: মো: কুতুব উদ্দিন, সর্ব সাং-এলংজুরী(মর্দাপাড়া), থানা: ইটনা, জেলা: কিশোরগঞ্জ। ৮। কামাল হোসেন(৩৬),পিতা: রফিকুল ইসলাম, সাং আইয়ুবপুর, থানা: শিবপুর,নরসিংদী। ৯। জহিরুল ইসলাম(৪২),পিতা: সহিদ মিয়া, সাং ইসলামপুর, থানা: মিঠামঈন, কিশোরগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন। নিহত আব্দুল হাছিব খশির কোনাপাড়া গ্রামের ইসমাইল আলীর ২য় পুত্র।

মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। জাহিদ হাসান জুবের ও ছাদিকুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কুড়ারবাজার ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তুতিউর রহমান তুতা, বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ লুৎফুর রহমান, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ব্রাজিল এর সহ-সভাপতি জুবের আহমদ, ব্লাড ডনেটরস অব বৈরাগীবাজারের সাধারণ সম্পাদক ছাদিকুর রহমান, বৈরাগীবাজার আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সহকারি শিক্ষক আব্দুল মুমিন ডালিম, আব্দুল হাসিবের পিতা ইসমাইল আলী, পল্লী বাউল লোক সংগীতালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সংগীত প্রশিক্ষক এস এম মানিক, আব্দুর রহীম, ছাত্র নেতা জিয়াউল হক, ফরিছ আলী জামাল, হাজী বদরুল ইসলাম, শাহীন আহমদ, নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক, সাবেক ইউপি সদস্য হাজী নজমুল হক প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়ন ও শেওলা ইউনিয়নের অন্তর্গত কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে একটি চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বেআইনিভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী এ চক্রটি যোগসাজশে ব্যবসা করে। ফলে সরকারী রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্টান, বাজার, ধর্মীয় উপসানালয়, মৎসজীবি ও পরিবেশ হুমকীর মুখে পড়ছে। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি ভাল মনে হলে এটা আইনত অপরাধ। মাটির নিচের বালু উত্তোলনের ফলে সড়ক সহ স্থাপনাদি যেকোন সময় দেবে যেতে পারে। ব্যবসায়ীক স্বার্থে আব্দুল হাছিবকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ সাজা, ফাঁসি দেয়ার দাবি জানান।

নিহত আব্দুল পিতা: ইসমাইল আলী বলেন, আমার বড় ছেলে ক্যান্সার রোগে মৃত্যুবরন করেছে তার দুইটি মেয়ে রয়েছে, হাসিবে যা আয় রোজগার করতো তা দিয়ে আমাদের পরিবার চলতো তাকে হত্যা করে আমার পরিবার অন্ধকারে ডুবে গেলে আমি সরকারের কাছে ছেলের হত্যার বিচার চাই। তার ছেলে মেয়ের কী হবে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

উল্ল্যেখ্য যে, গত ২০ জানুয়ারী অনুমান সন্ধা ৬ ঘটিকায় নিহত আব্দুল হাছিব মাছ ধরার সরঞ্জামাধী নিয়ে ঘর হইতে বাহির হইয়া তাহার সঙ্গীয় জেলে জায়েদুল ইসলাম সহ মাছ ধরার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হন। ঐ দিন রাত ৯ ঘটিকার সময় কুশিয়ারা নদীতে মাছ ধরাকালিন সময়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে স্টীল বডির বড় নৌকাতে বালু উত্তোলনে নিয়জিত উল্লেখিত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন আসামীর সাথে জালিয়া নৌকায় থাকা আব্দুল হাছিবের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উক্ত আসামীগন হত্যার উদ্দেশ্যে আব্দুল হাছিব ও জায়েদুল ইসলামের উপর এলোপাতাড়ি ইট নিক্ষেক করতে থাকে। আসামীদের নিক্ষেপিত ইট নিহতের কানের উপরে মাথায় আঘাত লাগে এবং সে নৌকা থেকে পানিতে ডুবে যায়। সাথে থাকা জায়েদুল ইসলাম চিৎকার করিতে থাকিলে আসপাশের মানুষ এসে তাকে উদ্ধার করে। উত্তেজিত লোকজন ঘটনাস্থলে আসিয়া ঘটনাস্থলে থাকা ২টি ড্রেজার ও ৩টি স্টীল বডির বড় নৌকার মধ্যে থাকা ১-৮ নং আসামীদের কে আটক করে এবং পরবর্তীতে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। ৯নং আসামীসহ আরোও ৫-৬ জন ঘটনাস্থল হইতে পালিয়ে যান। ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন সহ তাহার বাবা ও আত্বীয়রা গিয়ে আব্দুল হাছিবকে খুজাখুজি করে পাওয়া যায়নি। ২১ জানুয়ারী সকাল অনুমান ৯ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল নদীর গভীর তলদেশ থেকে তাকে মৃত উদ্বার করা হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। গতকাল রাতে হাসিবের পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এসময় মানববন্ধনে একাত্ততা প্রকাশ করে, ইউনিটি ইয়াং ক্লাব বৈরাগীবাজার, বৈরাগীবাজার ট্রাক সমিতি,কিয়াছারা যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থা, বৈরাগীবাজার উন্নয়ন সংঘটন, বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থা, সমাজ কল্যাণ সংঘ কোনাপাড়া, বৃহত্তর বৈরাগীবাজার এলাকাবাসী, রিয়েল ফ্রেন্ডস অব বৈরাগীবাজার, এল.পি.এস গড়র বন্দ, খশির বন্দ কইরবন্দ যুব সংঘ, খশির আব্দুল্লাহপুর যুব সংঘ, মৎসজীবি জেলে উন্নয়ন সমিতি, আল-ইহসান ইসলামি পরিষদ, ব্লাড ডোনেটর অব বৈরাগীবাজার।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধা সংগঠক আব্দুর রাজ্জাকের ইন্তেকাল।। বিশিষ্টজনের শোক প্রকাশ

বিয়ানীবাজারে মৎস‍্যজীবি হাছিব হত‍্যাকারীদের শাস্তির দাবীতে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী নিয়ে বিশাল মানববন্ধন

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৬:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
print news -

বিশেষ প্রতিনিধি :

বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের আলীপুরে কুশিয়ারা নদীতে বালু উত্তোলনে ড্রেজার কর্মীদের ইটের আঘাতে নিহত আব্দুল হাসিব হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ সাজা, ফাঁসি দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈরাগীবাজার এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। রোববার(২৩ জানুয়ারী) সকালে বৈরাগীবাজারের খশির আব্দুল্লাহপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২০ জানুয়ারী অনুমান ৯ ঘটিকার সময় বিয়ানীবাজার থানাধিন ৪নং শেওলা ইউনিয়নের অন্তর্গত আলীপুর সাকিনস্থ বিলালা আহমদ(৬২) এর বসত বাড়ী সংলগ্ন পশ্চিম পাশে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীতে ড্রেজার শ্রমিকের ইটের আঘাতে নৈকা থেকে পড়ে নিখুজ হন। ২১ জানুয়ারী সকাল ৯.৩০ মিনিটের সময় বর্নিত ঘটনাস্থল কুশিয়ারা নদীর গভীর তলদেশ থেকে আব্দুল হাছিবের মৃত দেহ উদ্বার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরদিন রাতে তাঁর স্ত্রী মোছা: ছামিরা ইয়াছমিন(৩২) বাদী হয়ে ১। মো: রশিদ মিয়া(২০),পিতা: মো: কাদির মিয়া, সাং নাইলা(পারিশ্বর), থানা-শরাইল, জেলা: বি:বাড়ীয়, ২। মনির হোসেন(২৪), পিতা: মো: নুরুল হক, ৩। মো: সিরাজুল ইসলাম(৩৫), পিতা: মো: নুরুল হক, ৪। মো: আলম মিয়া(২৫), পিতা: মো: আক্তার মিয়া, সর্ব সাং-ফয়জুল্লাপুর, থানা- শাল্লা, জেলা: সুনামগঞ্জ। ৫। রাসেল গাজী(২০), পিতা: মো: গিয়াস উদ্দিন গাজী, ৬। মো: মনির(২২), পিতা: মো: ছাত্তার মিয়া, ৭। তানভীরুল ইসলাম(২০), পিতা: মো: কুতুব উদ্দিন, সর্ব সাং-এলংজুরী(মর্দাপাড়া), থানা: ইটনা, জেলা: কিশোরগঞ্জ। ৮। কামাল হোসেন(৩৬),পিতা: রফিকুল ইসলাম, সাং আইয়ুবপুর, থানা: শিবপুর,নরসিংদী। ৯। জহিরুল ইসলাম(৪২),পিতা: সহিদ মিয়া, সাং ইসলামপুর, থানা: মিঠামঈন, কিশোরগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন। নিহত আব্দুল হাছিব খশির কোনাপাড়া গ্রামের ইসমাইল আলীর ২য় পুত্র।

মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। জাহিদ হাসান জুবের ও ছাদিকুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কুড়ারবাজার ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তুতিউর রহমান তুতা, বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ লুৎফুর রহমান, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ব্রাজিল এর সহ-সভাপতি জুবের আহমদ, ব্লাড ডনেটরস অব বৈরাগীবাজারের সাধারণ সম্পাদক ছাদিকুর রহমান, বৈরাগীবাজার আদর্শ বিদ্যানিকেতনের সহকারি শিক্ষক আব্দুল মুমিন ডালিম, আব্দুল হাসিবের পিতা ইসমাইল আলী, পল্লী বাউল লোক সংগীতালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সংগীত প্রশিক্ষক এস এম মানিক, আব্দুর রহীম, ছাত্র নেতা জিয়াউল হক, ফরিছ আলী জামাল, হাজী বদরুল ইসলাম, শাহীন আহমদ, নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক, সাবেক ইউপি সদস্য হাজী নজমুল হক প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়ন ও শেওলা ইউনিয়নের অন্তর্গত কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনে একটি চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বেআইনিভাবে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী এ চক্রটি যোগসাজশে ব্যবসা করে। ফলে সরকারী রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্টান, বাজার, ধর্মীয় উপসানালয়, মৎসজীবি ও পরিবেশ হুমকীর মুখে পড়ছে। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি ভাল মনে হলে এটা আইনত অপরাধ। মাটির নিচের বালু উত্তোলনের ফলে সড়ক সহ স্থাপনাদি যেকোন সময় দেবে যেতে পারে। ব্যবসায়ীক স্বার্থে আব্দুল হাছিবকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ সাজা, ফাঁসি দেয়ার দাবি জানান।

নিহত আব্দুল পিতা: ইসমাইল আলী বলেন, আমার বড় ছেলে ক্যান্সার রোগে মৃত্যুবরন করেছে তার দুইটি মেয়ে রয়েছে, হাসিবে যা আয় রোজগার করতো তা দিয়ে আমাদের পরিবার চলতো তাকে হত্যা করে আমার পরিবার অন্ধকারে ডুবে গেলে আমি সরকারের কাছে ছেলের হত্যার বিচার চাই। তার ছেলে মেয়ের কী হবে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

উল্ল্যেখ্য যে, গত ২০ জানুয়ারী অনুমান সন্ধা ৬ ঘটিকায় নিহত আব্দুল হাছিব মাছ ধরার সরঞ্জামাধী নিয়ে ঘর হইতে বাহির হইয়া তাহার সঙ্গীয় জেলে জায়েদুল ইসলাম সহ মাছ ধরার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হন। ঐ দিন রাত ৯ ঘটিকার সময় কুশিয়ারা নদীতে মাছ ধরাকালিন সময়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে স্টীল বডির বড় নৌকাতে বালু উত্তোলনে নিয়জিত উল্লেখিত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন আসামীর সাথে জালিয়া নৌকায় থাকা আব্দুল হাছিবের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উক্ত আসামীগন হত্যার উদ্দেশ্যে আব্দুল হাছিব ও জায়েদুল ইসলামের উপর এলোপাতাড়ি ইট নিক্ষেক করতে থাকে। আসামীদের নিক্ষেপিত ইট নিহতের কানের উপরে মাথায় আঘাত লাগে এবং সে নৌকা থেকে পানিতে ডুবে যায়। সাথে থাকা জায়েদুল ইসলাম চিৎকার করিতে থাকিলে আসপাশের মানুষ এসে তাকে উদ্ধার করে। উত্তেজিত লোকজন ঘটনাস্থলে আসিয়া ঘটনাস্থলে থাকা ২টি ড্রেজার ও ৩টি স্টীল বডির বড় নৌকার মধ্যে থাকা ১-৮ নং আসামীদের কে আটক করে এবং পরবর্তীতে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। ৯নং আসামীসহ আরোও ৫-৬ জন ঘটনাস্থল হইতে পালিয়ে যান। ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন সহ তাহার বাবা ও আত্বীয়রা গিয়ে আব্দুল হাছিবকে খুজাখুজি করে পাওয়া যায়নি। ২১ জানুয়ারী সকাল অনুমান ৯ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল নদীর গভীর তলদেশ থেকে তাকে মৃত উদ্বার করা হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। গতকাল রাতে হাসিবের পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এসময় মানববন্ধনে একাত্ততা প্রকাশ করে, ইউনিটি ইয়াং ক্লাব বৈরাগীবাজার, বৈরাগীবাজার ট্রাক সমিতি,কিয়াছারা যুব সমাজ কল্যাণ সংস্থা, বৈরাগীবাজার উন্নয়ন সংঘটন, বৈরাগীবাজার ক্রীড়া সংস্থা, সমাজ কল্যাণ সংঘ কোনাপাড়া, বৃহত্তর বৈরাগীবাজার এলাকাবাসী, রিয়েল ফ্রেন্ডস অব বৈরাগীবাজার, এল.পি.এস গড়র বন্দ, খশির বন্দ কইরবন্দ যুব সংঘ, খশির আব্দুল্লাহপুর যুব সংঘ, মৎসজীবি জেলে উন্নয়ন সমিতি, আল-ইহসান ইসলামি পরিষদ, ব্লাড ডোনেটর অব বৈরাগীবাজার।