০৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনে বিমান হামলায় নিহত মা, হাসপাতালে শিশুর জন্ম

print news -

ফিলিস্তিনে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নয় মাসের গর্ভবতী ওলা আল-কুর্দ মারা গেলেও বেঁচে গেছে তার গর্ভস্থ সন্তান, যাকে প্রায় ‘অলৌকিক’ ঘটনা বলে মনে করছেন তার পরিবারের সদস্যরা। নবজাতক শিশুটি এখন ভালো আছে সুস্থ আছে।ফিলিস্তিনে

ফিলিস্তিনে বিমান হামলায় নিহত ওলার বাবা আদনান আল-কুর্দ জানান, ১৯ জুলাই গাজার মধ্যাঞ্চলীয় আল-নুসেইরাতে তাদের বাড়ি ইসরায়েলের বিমান হামলায় গুড়িয়ে যায়। ওই বিস্ফোরণে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ ওলা নিহত হন।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ওলার শিশু সন্তান ও তার স্বামী বেঁচে যান, তারা দু’জনেই এখন হাসপাতালে আছেন। আদনান আল-কুর্দ বলেন, “ও (ওলা) শহীদ হলেও ওর পেটে সন্তানটি বেঁচে ছিল, এটি অলৌকিক এক ঘটনা।ফিলিস্তিনে

বিমান হামলার পর মৃত ওলাকে প্রথমে নুসেইরাতের আল আওদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতি বিরুদ্ধে থাকার পরও হাসপাতালটির চিকিৎসকরা নবজাতককে জীবিত বের করে আনতে সক্ষম হন যার নাম রাখা হয় মালেক ইয়াসিন। নবজাতক ইয়াসিনকে দেইর আল-বালাহর আল আকসা হাসপাতালে পাঠানো হয়, সেখানে একটি ইনকিউবেটরে তাকে রাখা হয়।

এই হাসপাতালের চিকিৎসক খলিল আল-দারকান বলেন, “খোদাকে ধন্যবাদ, শিশুটির জীবন রক্ষা পেয়েছে। সে এখন জীবিত ও ভালো আছে।”Screenshot 2024 07 26 185146 -

ওই বিস্ফোরণে এই এক পরিবারের বহু সদস্য নিহত হন। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে গাজাজুড়ে প্রতিদিনই এ ধরনের শোচনীয় ঘটনা ঘটে চলেছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন আর ছিটমহলটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

 এম. সাইফুর রহমান : এক পরিশুদ্ধ রাজনীতিবিদ

ফিলিস্তিনে বিমান হামলায় নিহত মা, হাসপাতালে শিশুর জন্ম

প্রকাশিত হয়েছেঃ ১১:২৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
print news -

ফিলিস্তিনে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নয় মাসের গর্ভবতী ওলা আল-কুর্দ মারা গেলেও বেঁচে গেছে তার গর্ভস্থ সন্তান, যাকে প্রায় ‘অলৌকিক’ ঘটনা বলে মনে করছেন তার পরিবারের সদস্যরা। নবজাতক শিশুটি এখন ভালো আছে সুস্থ আছে।ফিলিস্তিনে

ফিলিস্তিনে বিমান হামলায় নিহত ওলার বাবা আদনান আল-কুর্দ জানান, ১৯ জুলাই গাজার মধ্যাঞ্চলীয় আল-নুসেইরাতে তাদের বাড়ি ইসরায়েলের বিমান হামলায় গুড়িয়ে যায়। ওই বিস্ফোরণে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ ওলা নিহত হন।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ওলার শিশু সন্তান ও তার স্বামী বেঁচে যান, তারা দু’জনেই এখন হাসপাতালে আছেন। আদনান আল-কুর্দ বলেন, “ও (ওলা) শহীদ হলেও ওর পেটে সন্তানটি বেঁচে ছিল, এটি অলৌকিক এক ঘটনা।ফিলিস্তিনে

বিমান হামলার পর মৃত ওলাকে প্রথমে নুসেইরাতের আল আওদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতি বিরুদ্ধে থাকার পরও হাসপাতালটির চিকিৎসকরা নবজাতককে জীবিত বের করে আনতে সক্ষম হন যার নাম রাখা হয় মালেক ইয়াসিন। নবজাতক ইয়াসিনকে দেইর আল-বালাহর আল আকসা হাসপাতালে পাঠানো হয়, সেখানে একটি ইনকিউবেটরে তাকে রাখা হয়।

এই হাসপাতালের চিকিৎসক খলিল আল-দারকান বলেন, “খোদাকে ধন্যবাদ, শিশুটির জীবন রক্ষা পেয়েছে। সে এখন জীবিত ও ভালো আছে।”Screenshot 2024 07 26 185146 -

ওই বিস্ফোরণে এই এক পরিবারের বহু সদস্য নিহত হন। গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে গাজাজুড়ে প্রতিদিনই এ ধরনের শোচনীয় ঘটনা ঘটে চলেছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন আর ছিটমহলটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।