০১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতিবাজদের অপসারণসহ ২ দাবিতে সিএইচসিপিদের ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম

print news -

দুর্নীতিবাজদের অপসারণসহ কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে অপসারণ ও চাকরি রাজস্বকরণ- এ দুই দফা দাবি জানিয়েছে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)।

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যকর্মীদের বঞ্চনার ১৩ বছর!

দুর্নীতিবাজদের অপসারণসহ ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছে বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সংসদ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে, আগামী সোমবার থেকে সারা দেশের ১৪ হাজার সিএইচসিপিদের নিয়ে লাগাতার কর্মসূচির হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিল’ (বিএমআরসি) ভবনস্থ কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান দপ্তরের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘটের মাধ্যমে সিএইচসিপিরা এ হুশিয়ারি দেন।

এ সময় সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নইম উদ্দিন, সহসভাপতি রায়হান, ফেরদৌস, কামাল সরকার আবুল কাসেম ওসমানী, মালেক ভুইয়া, রেজা হাসিব খান, শাকিল আহমেদ, মাহবুব অন্তর, কেএম রুবেল, লিংকন, বিলাল আহমেদ বিএম আফজল ও সুমন মাতবরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘটে বক্তারা বলেন, প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ২০১১ সালে রিভাইটালাইজেন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ নামক প্রকল্প নেওয়া হয়। ক্লিনিক পরিচালনায় ১৩ হাজার ৮৬১ সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয় হয়। ২০১৩ সালে তৎকালীন সচিব শাহনেওয়াজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয় সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্ব করণ করা হচ্ছে। সাকুল্যে বেতন ৯ হাজার ৩৫০ টাকা ধরা হলেও শুরু থেকে ১৪তম গ্রেড করে ৮ হাজার ৫৫০ টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়। ২০১৪ সালে স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের অপারেশনাল প্লানে (ওপি) অন্তর্ভুক্ত করার পর বেতন-ভাতাদি জিওবি খাত হতে দেওয়া হয়। ওপিতে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিধান থাকলেও কর্তৃপক্ষ কখনোই দেয়নি।

তারা আরও বলেন, ২০১৫ সালে জাতীয় স্কেলে ১৪তম গ্রেডে ১০ হাজার ২০০ টাকা বেতন-ভাতাসহ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা নির্ধারন করা হয়। ২০১৬ সালে কর্তৃপক্ষ ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নিলে সিএইচসিপিরা হাইকোর্টে রিট করে। হাইকোর্ট সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্বখাতে নেওয়ার রায় দিলে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। পরে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্হ্য সহায়তা ট্রাস্টে ন্যস্ত করে। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে ট্রাস্ট আইন পাস হলেও দীর্ঘ ৬ বছরেও কোন সুবিধা দেওয়া হয়নি।

গত ১৩ বছর ধরে সারা দেশের ১৪ হাজার সিএইচসিপি চাকরিতে বৈষ্যম্য ও চরম শোষণের শিকার হয়েছেন। ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ ১৫ সদস্যকে বার বার বলার পর তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে গেছেন। এখন সারা দেশের সিএইচসিপি দাবি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে দ্রুত অপসারণ করে চাকরি রাজস্বভুক্ত করতে হবে।
সূত্র- যুগান্তর

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন: সভাপতি-লুৎফুর, সম্পাদক-জহুরুল

দুর্নীতিবাজদের অপসারণসহ ২ দাবিতে সিএইচসিপিদের ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম

প্রকাশিত হয়েছেঃ ১১:৫৭:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪
print news -

দুর্নীতিবাজদের অপসারণসহ কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে অপসারণ ও চাকরি রাজস্বকরণ- এ দুই দফা দাবি জানিয়েছে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)।

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যকর্মীদের বঞ্চনার ১৩ বছর!

দুর্নীতিবাজদের অপসারণসহ ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছে বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সংসদ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে, আগামী সোমবার থেকে সারা দেশের ১৪ হাজার সিএইচসিপিদের নিয়ে লাগাতার কর্মসূচির হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিল’ (বিএমআরসি) ভবনস্থ কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান দপ্তরের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘটের মাধ্যমে সিএইচসিপিরা এ হুশিয়ারি দেন।

এ সময় সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নইম উদ্দিন, সহসভাপতি রায়হান, ফেরদৌস, কামাল সরকার আবুল কাসেম ওসমানী, মালেক ভুইয়া, রেজা হাসিব খান, শাকিল আহমেদ, মাহবুব অন্তর, কেএম রুবেল, লিংকন, বিলাল আহমেদ বিএম আফজল ও সুমন মাতবরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘটে বক্তারা বলেন, প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ২০১১ সালে রিভাইটালাইজেন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ নামক প্রকল্প নেওয়া হয়। ক্লিনিক পরিচালনায় ১৩ হাজার ৮৬১ সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয় হয়। ২০১৩ সালে তৎকালীন সচিব শাহনেওয়াজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয় সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্ব করণ করা হচ্ছে। সাকুল্যে বেতন ৯ হাজার ৩৫০ টাকা ধরা হলেও শুরু থেকে ১৪তম গ্রেড করে ৮ হাজার ৫৫০ টাকা বেতন নির্ধারণ করা হয়। ২০১৪ সালে স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের অপারেশনাল প্লানে (ওপি) অন্তর্ভুক্ত করার পর বেতন-ভাতাদি জিওবি খাত হতে দেওয়া হয়। ওপিতে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিধান থাকলেও কর্তৃপক্ষ কখনোই দেয়নি।

তারা আরও বলেন, ২০১৫ সালে জাতীয় স্কেলে ১৪তম গ্রেডে ১০ হাজার ২০০ টাকা বেতন-ভাতাসহ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা নির্ধারন করা হয়। ২০১৬ সালে কর্তৃপক্ষ ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নিলে সিএইচসিপিরা হাইকোর্টে রিট করে। হাইকোর্ট সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্বখাতে নেওয়ার রায় দিলে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। পরে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্হ্য সহায়তা ট্রাস্টে ন্যস্ত করে। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে ট্রাস্ট আইন পাস হলেও দীর্ঘ ৬ বছরেও কোন সুবিধা দেওয়া হয়নি।

গত ১৩ বছর ধরে সারা দেশের ১৪ হাজার সিএইচসিপি চাকরিতে বৈষ্যম্য ও চরম শোষণের শিকার হয়েছেন। ট্রাস্টি বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ ১৫ সদস্যকে বার বার বলার পর তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে গেছেন। এখন সারা দেশের সিএইচসিপি দাবি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে দ্রুত অপসারণ করে চাকরি রাজস্বভুক্ত করতে হবে।
সূত্র- যুগান্তর