ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিচ্ছন্নতা কাজ করছেন সিলেটের বিয়ানীবাজারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে থানায় হামলার মাধ্যমে পুলিশ নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমানে দেশের কোথাও ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম বিদ্যমান নেই। এই পরিস্থিতিতে সড়কের যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছেন। পাশাপাশি তারা সড়ক ও এর আশপাশে জমে থাকা ময়লা আবর্জনাও পরিষ্কার করছেন। বিষয়টি বিভিন্ন মহলে প্রসংশিত হয়েছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র পরিষদের ছাত্র-ছাত্রীরা আজকে সকালেই আসে আমার অফিসে। আলাপ হয় তাদের ভাবনা নিয়ে। উনারা সকলে একত্রে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন পরিষ্কার করার আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদেরকে স্বাগত জানানো হয়। পরিস্কার করার সকল সরঞ্জাম তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করা হয়।ছাত্র-ছাত্রীরা একত্রে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন পরিষ্কার করে ফেলেন। পরবর্তীতে তাদের সাথে দুপুরের খাবার গ্রহণ করা হয়। অপরদিকে যে সকল ছাত্ররা রাস্তায় দাড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে তাদেরকে প্রদান করা হয় জার্সি ও মাথার ক্যাপ। আশা করছি আগামীর বৈষম্যবিহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকবে।
এ সময় ছাত্রছাত্রীরা বলেন, আমাদের সাথে এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। ময়লা ফেলার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে সবার। রাস্তাঘাটে কোথাও ময়লা আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট একটি স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেললে পরিষ্কার থাকবে এলাকা। তাই এসব কাজে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় নাগরিকেরা এবং তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের কার্যক্রম শহরের সার্বিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ছাত্র-ছাত্রীদের এই উদ্যোগে এলাকার প্রশাসনও তাদের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না থাকায় আমাদের নিজ উদ্যোগে আমার শহর পরিচ্ছন্ন ও যানজট মুক্ত রাখতে আমরা রাস্তায় নেমেছি। এ সময় বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুকনো খাবার ও পানি বিতরণ করেছেন। এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আমাদের সহযোগিতা করেছেন। এমন মহৎ উদ্যোগে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।