স্টাফ রিপোর্টার:
ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রলীগ। মোহাম্মদ জামাল হোসেন এর নেত্রিত্বে জামাল গ্রুফের সার্বিক তত্বাবধানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ চত্ত্বরে কেক কেটে এ কর্মসূচি উদযাপন করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
উপজেলা ছাএলীগের সাবেক আহবায়ক, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইচ চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এজন্য ছাত্রলীগের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত লাখো নেতাকর্মী কাজ করে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও যাবেন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে স্মার্ট সিটিজেন তৈরির যে অভূতপূর্ব সাফল্য তার জন্য কাজ করবে ছাত্রলীগ।
তিনি আরও বলেন, আজকে ছাত্রলীগের প্লাটিনাম জুবিলি (৭৬তম বার্ষিকী)। আজ ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীদের খুশির দিন, কারণ বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে এইদিনে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি যে ছাত্রলীগ নামে সংগঠনের বীজ বপন করেছিলেন তা আজ শতশত শাখা প্রশাখায় বিস্তৃত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠনে রূপ নিয়েছে এবং নিজ গৌরবে মাথা উঁচু করেছে। বাংলাদেশের যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ছাত্রদের অধিকার আন্দোলন এবং দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে জনগণের পাশে ভ্যানগার্ড হিসেবে ছিল আছে এবং থাকবে ছাত্রলীগ।
এ সময় বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাএলীগ নেতা কলিম উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগের ৭৬তম জন্মদিনে আমরা ছাত্রলীগ পরিবার আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। ১৯৪৮ সালের পর থেকে দেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে ছাত্রলীগ। আগামী ৭ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা ৪র্থ বারের মতো ক্ষমতায় আনতে ছাত্রলীগ নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে কাজ করবে, এটাই আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার।
মারজান উদ্দিন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য, শেখ হাসিনার জন্য ও নৌকার জন্য ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছি। বাংলা, বাঙালি, স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠার সময় ছিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ। পরবর্তী সময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের পরিবর্তে হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
শাব্বির আহমদ বলেন, সব সময় দেশের সার্বভৌমত্ব, মানবিক কাজের জন্য যে সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে সে সংগঠনের আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে ছাত্রলীগ সবসময় কাজ করেছে, কাজ করে যাবে।
ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্টানে অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল আলিম রুমেল,আলমগীর কবির টিটু,জাকির হুসেন, রুমন ওয়াহিদ, মারুফ আহমদ,বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ছাএলীগ নেতা জুনেদ আহমেদ, মিরজান উদ্দিন,আব্দুলা আল নুমান,রিপন আহমদ, জবরুল আহমদ, ফয়েজ আহমদ, আমিনুল ইসলাম, ইউনুস আহমদ, আবু তানিম,সুহান আহমদ, এমরান আহমদ, মুজাহিদ আহমদ, আলামিন আহমদ, সামি হক,আলি হাসান, লিমন,তাকি প্রমুখ।