০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলন্ত ট্রেনে এক ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা

print news -

আন্তর্জাতিক ডেক্স: চলন্ত ট্রেনে এক ফুটফুটে সন্তানের জন্মদিল এক মহিলা। আর এ ব্যাপারে মহিলার সাহায্যে এগিয়ে এলেন ডাক্তারি পাঠরত  শেষ বর্ষের এক ছাত্রী। সেকেন্দ্রবাদ-বিশাখাপত্তন দুরন্ত এক্সপ্রেসে  ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে শিশু ও তার মা ভালো আছে বলে জানা গেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গর্ভবতী ওই মহিলা শ্রীকাকুসামের বাসিন্দা। আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য সেকেন্দ্রবাদ দুরন্ত এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। বিজওয়াড়া থেকে বিশাখাপত্তনম যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ রাতে দিকে মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। ঘটনায় দিশাহারা হয়ে যান মহিলার সঙ্গে থাকা পরিবারের লোকজন।
মেডিক্যালের ছাত্রী কে স্বাথি রেড্ডি, মহিলার সঙ্গে একই কামরায় ভ্রমণ করছিলেন। গীতম ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের  শেষ বর্ষের পডু়য়া সে। সকাল প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ মহিলার স্বামী মেডিক্যালের ওই ছাত্রীটির কাছে আসেন, এবং জানান যে তাঁর স্ত্রী প্রসব যন্ত্রণায় ভুগছেন। রেড্ডি যে মেডিক্যালের ছাত্রী, তা জানতেন না মহিলার স্বামী। এরপর কামড়ায় থাকা অন্য দুই মহিলা এবং কর্তব্যরটি পুলিশের সহায়তায় ভোর সাড়ে পাঁচটার নাগাদ এক শিশুর জন্ম দেন ২৮ বছর বয়সী ওই মহিলা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন তাঁর পরিবারের লোক জন। তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরাও।
অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ছাত্রীটি জানান, এর আগে প্রসবের সময় কলেজের অধ্যাপক ও সহকর্মী চিকিৎসকদের সাহায্য করছেন। এই প্রথমবার কোনও রকম সরঞ্জাম ছাড়াই কাজটি করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে, শিশুটি প্রসব না হওয়া পর্যন্ত তিনি টেনশনে ছিলেন বলে জানান। নিরাপদে পুরো বিষয়টি করতে পেরে বেশ খুশি মেডিক্যালের ওই ছাত্রীটি।
মা ও শিশু সুস্থ থাকায়, খুশি ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরাও। নিরাপদে ডেলিভারি করার জন্য মেডিক্যালের ওই ছাত্রীটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রেনের অন্য যাত্রীরা। পরে, ট্রেনটি আনাকাপল্লি স্টেশনে  থামলে, মহিলার পরিবারের পক্ষ থেকে সমস্ত বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এরপর রেলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয় অ্যাম্বুলেন্সের। পরে মহিলা ও শিশুটিকে স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কেটিআর মেডিকেল ছাত্রীটিকে তার প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসা করেছেন। মেডিক্যাল কলেজে MBBS ছাত্রীর কাজে খুশি তাঁর পরিবার এবং সহপাঠীরাও। সদ্যজাতকে নিয়ে এরপর ছবিও তোলেন ডাক্তারি পড়ুয়া।

ট্যাগঃ

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে র ইরানের উপর নিষেধা জ্ঞা

চলন্ত ট্রেনে এক ফুটফুটে সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৯:৪২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
print news -

আন্তর্জাতিক ডেক্স: চলন্ত ট্রেনে এক ফুটফুটে সন্তানের জন্মদিল এক মহিলা। আর এ ব্যাপারে মহিলার সাহায্যে এগিয়ে এলেন ডাক্তারি পাঠরত  শেষ বর্ষের এক ছাত্রী। সেকেন্দ্রবাদ-বিশাখাপত্তন দুরন্ত এক্সপ্রেসে  ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে শিশু ও তার মা ভালো আছে বলে জানা গেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গর্ভবতী ওই মহিলা শ্রীকাকুসামের বাসিন্দা। আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য সেকেন্দ্রবাদ দুরন্ত এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। বিজওয়াড়া থেকে বিশাখাপত্তনম যাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ রাতে দিকে মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। ঘটনায় দিশাহারা হয়ে যান মহিলার সঙ্গে থাকা পরিবারের লোকজন।
মেডিক্যালের ছাত্রী কে স্বাথি রেড্ডি, মহিলার সঙ্গে একই কামরায় ভ্রমণ করছিলেন। গীতম ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের  শেষ বর্ষের পডু়য়া সে। সকাল প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ মহিলার স্বামী মেডিক্যালের ওই ছাত্রীটির কাছে আসেন, এবং জানান যে তাঁর স্ত্রী প্রসব যন্ত্রণায় ভুগছেন। রেড্ডি যে মেডিক্যালের ছাত্রী, তা জানতেন না মহিলার স্বামী। এরপর কামড়ায় থাকা অন্য দুই মহিলা এবং কর্তব্যরটি পুলিশের সহায়তায় ভোর সাড়ে পাঁচটার নাগাদ এক শিশুর জন্ম দেন ২৮ বছর বয়সী ওই মহিলা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন তাঁর পরিবারের লোক জন। তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরাও।
অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ছাত্রীটি জানান, এর আগে প্রসবের সময় কলেজের অধ্যাপক ও সহকর্মী চিকিৎসকদের সাহায্য করছেন। এই প্রথমবার কোনও রকম সরঞ্জাম ছাড়াই কাজটি করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে, শিশুটি প্রসব না হওয়া পর্যন্ত তিনি টেনশনে ছিলেন বলে জানান। নিরাপদে পুরো বিষয়টি করতে পেরে বেশ খুশি মেডিক্যালের ওই ছাত্রীটি।
মা ও শিশু সুস্থ থাকায়, খুশি ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরাও। নিরাপদে ডেলিভারি করার জন্য মেডিক্যালের ওই ছাত্রীটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রেনের অন্য যাত্রীরা। পরে, ট্রেনটি আনাকাপল্লি স্টেশনে  থামলে, মহিলার পরিবারের পক্ষ থেকে সমস্ত বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এরপর রেলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয় অ্যাম্বুলেন্সের। পরে মহিলা ও শিশুটিকে স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তেলেঙ্গানার মন্ত্রী কেটিআর মেডিকেল ছাত্রীটিকে তার প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসা করেছেন। মেডিক্যাল কলেজে MBBS ছাত্রীর কাজে খুশি তাঁর পরিবার এবং সহপাঠীরাও। সদ্যজাতকে নিয়ে এরপর ছবিও তোলেন ডাক্তারি পড়ুয়া।