কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীরা বন্যার্তদের মাঝে স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তলিয়ে গেছে দেশের ১১ জেলার নিম্নাঞ্চল। প্রবল এই বন্যায় বানভাসিদের মাঝে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে নিজেদের এক দিনের বেতন দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
আরেও পড়ুন:
চাকুরী রাজস্ব খাতে নেওয়ার দাবিতে কমিউনিটি ক্লিনিক-কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
দুর্নীতিবাজদের অপসারণসহ ২ দাবিতে সিএইচসিপিদের ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম
বন্যা দুর্গতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা
কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যকর্মীদের বঞ্চনার ১৩ বছর!
স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে থাকার ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
সোমবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি) পানিবন্দি শিশু, নারী-পুরুষ এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ফলোআপ করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশে বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বন্যার্ত ভাই-বোনদের পাশে থাকতে আমাদের এক দিনের বেতন প্রদান করব। আমাদের নিজেদেরও বেতন দীর্ঘদিন বন্ধ। তবুও এই মুহূর্তে আমাদের ভুক্তভোগী ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
এ সময় প্রত্যেককেই নিজ নিজ অবস্থান ও সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্যকর্মী আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা করোনাকালে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ছিলাম। শুধু মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়েছি। বর্তমানে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবার পাশে আছি। আমাদের অনেক ক্লিনিক বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। আমরা ওষুধপত্র নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়েছি। সেখান থেকে ওষুধ নিয়ে প্রতিদিন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিচ্ছি।
[youtube-feed feed=1]