০২:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তেজনার মধ্যেই ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

print news -

নিউজ ডেক্স:

ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৈঠকের শুরুতে দুই নেতা প্রাথমিক বক্তব্য রেখেছেন। উভয়ের কথাতেই সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি উঠে এসেছে। এরপর তারা একান্ত আলোচনায় ঢুকে পড়েন।

হোয়াইট হাউজ সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, দীর্ঘ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিনের আলোচনায় বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যু প্রাধান্য পাবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

কোভিডকালে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি চীনের বিরুদ্ধে সরব হন। কোভিডের জন্য চীনকে দায়ী করেন। করোনাভাইরাসকে উল্লেখ করেন চীনা ভাইরাস হিসেবে। এরপর জো বাইডেন ক্ষমতায় এলেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেয়নি চীন। এ নিয়ে দেশটির কঠোর সমালোচনা করেছেন বাইডেন। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের ভার্চুয়াল বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

বৈঠকের শুরুতেই প্রাথমিক প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট। শি জিনপিং বলেছেন, পুরনো বন্ধুর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পেরে তিনি খুশি। বস্তুত, বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, শি জিনপিংও তখন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দুই জন একসঙ্গে সফরও করেছেন। ফলে তাদের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। শি-র বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মোকাবিলার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হওয়া একান্ত প্রয়োজন। তবে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে।

অন্যদিকে বাইডেন বলেছেন, বিশ্ব রাজনীতির কাছে দায়বদ্ধ থাকার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য কমনসেন্স গার্ডরেল তৈরি করা প্রয়োজন। বাইডেনের বক্তব্য, সংকীর্ণ বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠার মানসিকতাই হলো কমনসেন্স গার্ডরেল।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এদিনের বৈঠক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। দুই দেশের মধ্যে বিতর্ক কমার সম্ভাবনাও তারা দেখছেন না। তবে সংঘাত কমানোর একটি রাস্তা খুললো বলে তারা মনে করছেন। বাইডেন এদিনের বৈঠকেও মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলবেন বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখবেন না বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

সম্প্রতি তাইওয়ান নিয়েও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে চীনের নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাইওয়ানকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দুনিয়া। অন্যদিকে বেইজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মনে করে। অঞ্চলটির আকাশে একাধিকবার যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে বেইজিং। যা নিয়ে বিতর্ক আরও বেড়েছে। এদিনের বৈঠকেও এর রেশ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধা সংগঠক আব্দুর রাজ্জাকের ইন্তেকাল।। বিশিষ্টজনের শোক প্রকাশ

উত্তেজনার মধ্যেই ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

প্রকাশিত হয়েছেঃ ০৫:১৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
print news -

নিউজ ডেক্স:

ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৈঠকের শুরুতে দুই নেতা প্রাথমিক বক্তব্য রেখেছেন। উভয়ের কথাতেই সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি উঠে এসেছে। এরপর তারা একান্ত আলোচনায় ঢুকে পড়েন।

হোয়াইট হাউজ সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, দীর্ঘ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিনের আলোচনায় বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যু প্রাধান্য পাবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

কোভিডকালে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি চীনের বিরুদ্ধে সরব হন। কোভিডের জন্য চীনকে দায়ী করেন। করোনাভাইরাসকে উল্লেখ করেন চীনা ভাইরাস হিসেবে। এরপর জো বাইডেন ক্ষমতায় এলেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেয়নি চীন। এ নিয়ে দেশটির কঠোর সমালোচনা করেছেন বাইডেন। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের ভার্চুয়াল বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

বৈঠকের শুরুতেই প্রাথমিক প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট। শি জিনপিং বলেছেন, পুরনো বন্ধুর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পেরে তিনি খুশি। বস্তুত, বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, শি জিনপিংও তখন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দুই জন একসঙ্গে সফরও করেছেন। ফলে তাদের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। শি-র বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মোকাবিলার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হওয়া একান্ত প্রয়োজন। তবে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে।

অন্যদিকে বাইডেন বলেছেন, বিশ্ব রাজনীতির কাছে দায়বদ্ধ থাকার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য কমনসেন্স গার্ডরেল তৈরি করা প্রয়োজন। বাইডেনের বক্তব্য, সংকীর্ণ বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠার মানসিকতাই হলো কমনসেন্স গার্ডরেল।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এদিনের বৈঠক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। দুই দেশের মধ্যে বিতর্ক কমার সম্ভাবনাও তারা দেখছেন না। তবে সংঘাত কমানোর একটি রাস্তা খুললো বলে তারা মনে করছেন। বাইডেন এদিনের বৈঠকেও মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলবেন বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখবেন না বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

সম্প্রতি তাইওয়ান নিয়েও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে চীনের নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাইওয়ানকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দুনিয়া। অন্যদিকে বেইজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মনে করে। অঞ্চলটির আকাশে একাধিকবার যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে বেইজিং। যা নিয়ে বিতর্ক আরও বেড়েছে। এদিনের বৈঠকেও এর রেশ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ।