ঢাকামঙ্গলবার , ৬ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলা
  8. চাকরি খবর
  9. জাতীয়
  10. টপ নিউজ
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. ধর্ম
  13. প্রবাস
  14. ফিচার
  15. বিনোদন

সিলেট ও সুনামগঞ্জের আট উপজেলায় বন্যার ভয়াল রূপ নিয়েছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে

পঞ্চবাণী অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : জুন ১৭, ২০২২
Link Copied!

সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৮ উপজেলায় বন্যা ভয়াল রূপ নিয়েছে। সিলেট জেলার ৫টি এবং সুনামগঞ্জের তিনটি উপজেলা পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুই জেলার জেলা প্রশাসক। পানিতে ভেসে যাচ্ছে অনেক কাঁচা ঘর-বাড়ি। মানুষজন ছুটছেন আশ্রয় কেন্দ্রের সন্ধানে। নৌকা সংকটে ব্যাহত হচ্ছে বানভাসি লোকজনকে উদ্ধার কার্যক্রম। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলা সদরের সাথে এসব উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সিলেটের সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট ও সিলেট সদর উপজেলা পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। পানি প্রবেশ করেছে নগরীর নিচু এলাকায়ও। এছাড়া, সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার উপজেলা ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম বন্যায় পুরোপুরি প্লাবিত। এসব উপজেলা সদরে রীতিমতো নৌকা চলাচল করছে। লোকজন ছুটছেন আশ্রয় কেন্দ্রের সন্ধানে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো)-এর বৃহস্পতিবার(১৬ জুন) সন্ধ্যা ৬টার বুলেটিনে জানানো হয়, সুরমা নদী সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার, কানাইঘাটে সুরমা ৯৫ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার এবং সারি নদী বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: মজিবর রহমান বলেন, দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ সংকট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলা পুরোপুরি প্লাবিত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি সকলকে ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবেলার পরামর্শ দেন।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বন্যায় ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা পুরোপুরি প্লাবিত। সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার কিছু অংশ ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলা শহর পুরোপুরি পানির নিচে। এছাড়া, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুরের নিচু এলাকাও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার্ত লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রের সন্ধানে ছুটছেন। সুনামগঞ্জে এ পর্যন্ত ৩২০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৯ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

সিলেটের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, সিলেট জেলায় এ পর্যন্ত ৪৩২ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৫টি উপজেলা পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। জেলার বাকি এলাকা আংশিক প্লাবিত হয়েছে।

সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবজার ও সুনামগঞ্জ জেলা সদরসহ বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন। রাতে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ‘পরিস্থিতি খুবই খারাপ। মানুষ খুব বিপদে আছে। রাস্তা ডুবে যাওয়ায় সড়কপথে সরাসরি সিলেট আসতে পারেননি। রাতে বিকল্প পথে তিনি জগন্নাথপুর হয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন বলে জানান এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ২৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পাউবো।

বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তলিয়ে গেছে উপজেলার কাঁচা-পাকা সকল রাস্তাঘাট। বিভিন্ন এলাকায় পানির তোড়ে ভেঙে পড়েছে রাস্তা ও বাঁধ।

সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতকের সাথে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উপজেলার সর্বত্র গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। পানি উঠে যাওয়ায় স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসাসহ সরকারি সকল বাসভবনের নিচতলায় পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলা ভূমি অফিস, থানা কম্পাউন্ড, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স, এলজিইডি অফিস, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ সরকারি-বেসরকারী সকল অফিসে কোমর সমান পানি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল হক বলেন, পানি ঢুকে পড়ায় উপজেলার সকল স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মৃণাল কান্তি চৌধুরী বলেন,পানির কারনে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন, আগের বন্যায় ফসলের যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে। নতুন করে শাকসবজিসহ ১০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং বলেন, বন্যাদুর্গত লোকজন নির্ধারিত ৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। বহু মানুষ স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বিতরণের জন্য শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান জানান, বিপদসীমার উপরে সারি ও ডাউকি নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ৪০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

বন্যায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বহু বসতবাড়ি রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে।সারী ও বড় নয়াগং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে নিজপাট, দরবস্ত, জৈন্তাপুর ও চারিকাটা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার আসামপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ,ইমরান আহমদ মহিলা ডিগ্রি কলেজ বিরাইমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ডুলটিরপাড়া সহ আর অনেক স্কুলে পানিতে তলিয়ে গেছে।

নীচ এলাকার অনেকের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যাচ্ছেন। টানা বৃষ্টি পাতের ফলে জৈন্তাপুর উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

উপজেলার নিচু এলাকার জনসাধারণকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে । উপজেলা প্রশাসন থেকে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যায় স্কুলের অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষা স্থগিত সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করা হয়েছে। জৈন্তাপুর,নিজপাট ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামে পানি প্রবেশ করায় জনসাধারণ কে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম জানান, সেখানে একটি জরুরী কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। উপজেলায় ২৪ টি আশ্রয়ন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রশাসন পক্ষ থেকে ৬টি ইউনিয়নে ২৪ মেট্রিকটিন চালু বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে।

 উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল বশিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ বন্যা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে অসহায় মানুষকে শুকনো খাবার দিয়ে সহযোগিতা করছেন। প্রশাসন থেকে ৫ শত প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ জৈন্তাপুর উপজেলাকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবী জানিয়েছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী ও নির্বাহী কর্মকর্তা কানাইঘাট সদর ইউনিয়ন ও লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বন্যা দুর্গত এলাকায় বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা বেগম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মাও. জামাল উদ্দিন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।

গত বুধবার থেকে কানাইঘাট উপজেলায় বন্যার পানি বাড়তে থাকে। সুরমা নদীর ভাঙ্গণ কবলিত বিভিন্ন ডাইক দিয়ে প্রবলবেগে পানি প্রবেশ করছে। কয়েক শতাধিক বাড়ি ঘরে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব, ৫নং বড়চতুল, কানাইঘাট পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। কানাইঘাট-চতুল-দরবস্ত ও কানাইঘাট-সুরইঘাট সড়কের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সিলেট নগরীর সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নের সকল মানুষ পানিবন্দী। মানবেতর জীবন যাপন করছেন অনেক মানুষ। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রেসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক পরিবার। বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ হতে বন্যার্তদেও মাঝে ৩ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এই ইউনিয়নকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রদান করতে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া।

খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি বলেন, আমরা ৫০ বছরের মধ্যে এত বড় বন্যা কখনো দেখিনি। রেল স্টেশনে পানি দেখা দূরের কথা, আজ রেল স্টেশনটিও পানিতে তলিয়ে গেছে। আমার ইউনিয়নের প্রাইমারি স্কুলগুলো নিচু,তারপরও পানিবন্দী মানুষকে উচু বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল বলেন, ইউনিয়নের বেশীরভাগ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। বৃষ্টি ছাড়াও পানি হু হু করে বাড়ছে। মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন, আমি বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের অবস্থা ভয়াবহ। পানিবন্দী মানুষকে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সসহ প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ছাতক-দোয়ারাবাজার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক জানান, সরকার সব সময় বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের পাশে আছে। চলমান বন্যায় ছাতক-দোয়ারাবাজারের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষকে সার্বিক সহায়তা দেয়া হবে। সরকারিভাবে পর্যাপ্ত সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাস বলেন, বন্যার কারণে বিদ্যালয়গুলোর পাঠদানের পরিবেশ না থাকায় চারটি বিদ্যালয়ের পাঠদান অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যালয়গুলো আরও বন্ধ থাকতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সার্বক্ষণিক বন্যাকবলিত মানুষের খোঁজ খবর রাখছেন । উপজেলা সদরে বন্যাজনিত খবরা খবরের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র। এ পর্যন্ত প্যারীনগর, ধরেরপাড় উপজেলা সদরসহ কয়েকটি বন্যাআশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত ৬০ মে.টন চাল, ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, নগদ ২ লক্ষ টাকা এবং গো খাদ্যের জন্য ২৬ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

বন্যায় বিশ্বম্ভরপুর টু সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পঞ্চবানী.কম এ  লিখতে পারেন আপনিও। খবর, ফিচার, ভ্রমন, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি, খেলা-ধুলা। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন   newsdeskpb@gmail.com   ঠিকানায়।