ঢাকাবুধবার , ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলা
  8. চাকরি খবর
  9. জাতীয়
  10. টপ নিউজ
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. ধর্ম
  13. প্রবাস
  14. ফিচার
  15. বিনোদন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর নির্মিত বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শনকে ঘিরে উত্তেজনা

পঞ্চবাণী অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
Link Copied!

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর নির্মিত বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শনকে ঘিরে উত্তেজনা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর নির্মিত বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র দেখানোকে কেন্দ্র করে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন বন্ধ করার জন্য কর্মকর্তারা বিদ্যুৎসহ ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদির নেতৃত্ব ও তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিবিসির তথ্যচিত্রে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর নির্মিত বিবিসির তথ্যচিত্রটি সম্পর্কে ভারত সরকার বলেছে, এতে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে এবং এটি ‘প্রচারধর্মী’। ফলে তথ্যচিত্র দেখানো বন্ধের নির্দেশে দিয়েছে দেশটির শীর্ষ একটি বিশ্ববিদ্যালয়। না হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। এর আগে টুইটার, ইউটিউবে এ তথ্যচিত্র প্রদর্শনী বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। খবর বিবিসির।

জেএনইউ প্রশাসন ছাত্রদের ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল তারা, যাতে এটি প্রদর্শনের আয়োজন না করে। কারণ এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে। তথ্যচিত্রের প্রদর্শন ঠেকানোর জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হলেও, ছাত্রনেতারা লোকজনের কাছে কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোড বিতরণ করে তাঁদের ফোন ও ল্যাপটপে ভিডিওটি দেখতে বলেছেন। অপ্রীতিকর অবস্থা সামাল দিতে ক্যাম্পাসে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বিবিসি হিন্দি বিভাগের একজন রিপোর্টার বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন তথ্যচিত্রটি দেখছিল, ২০ থেকে ৩০ জনের একটি গ্রুপ তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে। শিক্ষার্থীরা বলছে, এ বিষয়ে তাঁরা পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ করেছেন।

এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুরোধে টুইটার থেকে তথ্যচিত্র সরিয়েছেন ইলন মাস্ক। ভারত সরকারের চাপে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিতর্কের মধ্যে দল ছাড়লেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির পুত্র অনিল অ্যান্টনি। তথ্যচিত্রটি নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক অবস্থানের সমালোচনা করে গতকাল তিনি দলত্যাগের কথা জানান। অনিল অ্যান্টনি টুইট করে বলেন, যাঁরা বাকস্বাধীনতার কথা বলেন, আজ তাঁরাই অসহিষুষ্ণ হয়ে পড়েছেন। আমি এই ভণ্ডামির পক্ষে নেই। স্তাবকদের পাশে থাকারও ইচ্ছা আমার নেই। অনিল তাঁর ইস্তফাপত্র টুইটারে পোস্ট করেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পঞ্চবানী.কম এ  লিখতে পারেন আপনিও। খবর, ফিচার, ভ্রমন, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি, খেলা-ধুলা। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন   newsdeskpb@gmail.com   ঠিকানায়।