বৈরাগীবাজার উত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদ এর পরিচালনা কমিটি গঠিত
সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার ৫নং কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বৈরাগীবাজারে ২০০৪খ্রি:স্থাপিত ইসলামী সংগঠন বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদ। উক্ত সংগঠনের পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হলে গঠন করা হয় নতুন পরিচালনা কমিটি। যাহার মেয়াদ ১লা জানুয়ারী ২০২৩ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ।
বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদের সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে মাও: আব্দুন নুর কে সভাপতি এবং হোসেন আহমদ কে সাধারণ সম্পাদক করে পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। নিন্মে পূনাঙ্গ কমিটি উপস্থাপন করা হলো:
সহ-সভাপতি হযরত মাওলানা আছার উদ্দিন, সহ-সভাপতি হযরত মাও: আসউদ আহমদ, সহ-সভাপতি হযরত মাও: আব্দুর রব, হযরত মাও: আবু ত্যায়িব, হযরত মাও: জামিল আমহদ,সহ-সাধারন সম্পাদক মাও: ফখরুল ইসলাম, সহ-সাধারন সম্পাদক হাফিজ মনসুর আলম,কোষাধ্যক্ষ ছালিক আহমদ, সহ কোষাধ্যক্ষ সুহেল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়ছল আহমদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুল আহমদ, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক শহিদ আহমদ, সহ যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক শাহজাদ আহমদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মাও: শাব্বির আহমদ, অফিস ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ অফিস ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক খলিল আহমদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হযরত মাও: ইজ্জাদ আলী, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান।
কার্যকরী সদস্য হিসেবে রয়েছেন, মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, ফয়ছল আহমদ, আকমল আহমদ, আবু সাঈদ, এনামুল হক দুলাই, সাইফুল ইসলাম সাকি, নাইম আহমদ, নুর মোহাম্মদ, আজিম আহমদ, আমিনুল ইসলাম জয়নুল, জহিরুল ইসলাম ইয়াহিয়া, কাওছার আহমদ।
আরো পড়ুন:
বৈরাগীবাজারে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী
প্রত্যেক মুসলমানকে ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তি লাভের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম-আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর দেখানো সঠিক পথ অনুসরণ করে আমাদের কে ইসলামের দাওয়াত ও প্রচারে নিয়োজিত থাকতে হবে। প্রত্যেক মুসলমানকে নিজ দায়িত্বে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তবেই কোরআনের আলোয় সমাজ আলোকিত হবে। শুধু দুনিয়ার পিছনে ছুটলে চলবে না। দুনিয়াদারীর পাশাপাশি আখেরাতের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে, বৈরাগীবাজার ইত্তেহাদুল মুসলিমীন পরিষদ।
সংগঠন ছাড়া বা জামা‘আতবদ্ধ জীবন ব্যতিরেকে ইসলামের অস্তিত্ব কল্পনাই করা সম্ভব নয়। ইসলামী আদর্শের প্রথম ও প্রধান উৎস মহাগ্রন্থ আল-কুরআন এবং দ্বিতীয় উৎস সুন্নাতে রাসূল। এতদুভয়ের শিক্ষা ও দর্শন আলোচনা করলে কোথাও ব্যক্তিগতভাবে ইসলামী জীবন যাপনের সুযোগ দেখা যায় না। কুরআন-সুন্নাহর আহবান হয় গোটা মানবজাতির জন্যে, আর না হয় মানুষের মধ্য থেকে যারা ঈমান এনেছে তাদের সকলের জন্যে। কেবলমাত্র আখেরাতের হিসাব-নিকাশ ও জবাবদিহিতা হবে ব্যক্তিকেন্দ্রিক। কিন্তু সেই জবাবদিহিতা থেকে বাঁচতে হ’লেও এই দুনিয়াতে সামষ্টিকভাবে দ্বীন মেনে চলার ও দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজন আছে।
এছাড়া শিরক ও বিদ‘আত থেকে সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রকে বাঁচাবার জন্য ইসলামী সংগঠনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। এর থেকে দূরে থাকার কোন সুযোগ নেই। আল্লাহ বলেন, ‘ঈমানদার নারী-পুরুষ পরস্পরের সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক। তাদের সম্মিলিত দায়িত্ব হ’ল সৎকাজে আদেশ দান এবং অসৎকাজে বাধা প্রদান। তারা ছালাত কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে। তাদের প্রতি সত্বর আল্লাহপাক অনুগ্রহ করবেন। মহান আল্লাহ পরাক্রমশালী ও মহিমান্বিত’ (তওবা ৯/৭১)। এ আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য হ’ল ভালো কাজের আদেশ করা এবং মন্দ কাজের প্রতিরোধ করা। এর থেকে দূরে থাকার কোন সুযোগ নেই। আর এ কাজ করতে গেলেই সংগঠনের প্রয়োজন। কাজেই ইসলামী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া আবশ্যক।
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পঞ্চবানী.কম এ লিখতে পারেন আপনিও। খবর, ফিচার, ভ্রমন, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি, খেলা-ধুলা। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন newsdeskpb@gmail.com ঠিকানায়।