ঢাকারবিবার , ২৮শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. এক্সক্লুসিভ
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলা
  8. চাকরি খবর
  9. জাতীয়
  10. টপ নিউজ
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. ধর্ম
  13. প্রবাস
  14. ফিচার
  15. বিনোদন

বিয়ানীবাজার উপজেলায় অবাধে চলছে টিলা কাটা

পঞ্চবাণী অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
Link Copied!

বিয়ানীবাজার উপজেলায় অবাধে চলছে টিলা কাটা

বিয়ানীবাজার উপজেলার মোল্লাপুর ও লাউতা ইউনিয়নসহ উপজেলার টিলাবেষ্টিত বেশ কিছু অঞ্চলে অবাধে চলছে টিলা কাটা। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা টিলার মাটি কেটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসন মাঝে মধ্যে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালালেও রহস্যজনক কারণে অভিযানের আগেই উধাও হয়ে যায় পাহাড় কাটা চক্রের সদস্যরা।
অভিযোগ রয়েছে, বিয়ানীবাজার পৌরসভার নিদনপুর, সুপাতলা, লাউতা ইউনিয়নের কালাইউরা, কালনী, জলঢুপ, বাউরভাগ, মোল্লাপুর ইউনিয়নের পাতন, মাটিকাটা এলাকায় কমপক্ষে ১০-১২টি টিলার মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১৫-২০ জনের একটি সিন্ডিকেট চক্র এই অবৈধ মাটিকাটার সাথে জড়িত। নামমাত্র মূল্যে টিলাগুলোর মাটি কিনে নিয়ে সেই মাটি ট্রাক্টর প্রতি দুই-তিনি হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে এই চক্রটি।

এই প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, মাটি খেকো চক্রগুলোর সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছেন বিয়ানীবাজার উপজেলার ২০-২৫ জন প্রভাবশালী লোক। তাদের বেশির ভাগই ট্রাক্টর, ট্রাক ও এক্সেবেটরের মালিক। শুষ্ক মৌসুমে তারা টিলা কাটতে বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাদের কাজ হলো উপজেলার বিভিন্ন টিলা ও ফসলি জমি কেটে নিয়ে তারা অন্যত্র সেই মাটি বিক্রি করে দেয়া। সম্প্রতি তারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাত-দিন দুই শিফটে টিলার মাটিকেটে দূরদূরান্তে বিক্রি করছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেট জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক সামির মাহমুদ বলেন, বিয়ানীবাজার উপজেলার টিলাগুলো এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায়ও ভূমিকা রাখছে। এসব টিলা কেটে সমান করে দিলে এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে। টিলা ও পাহাড় কাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদফতরকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।
সম্প্রতি টিলা কাটার অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার। তবে তিনি ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সেখান থেকে কেটে পড়ে মাটি কাটার শ্রমিকেরা। তানিয়া আক্তার বলেন, অভিযোগ পেয়েই আমরা নির্ধারিত স্থানে অভিযান চালাই। সেখানে গিয়ে টিলায় সদ্য মাটি কাটার চিহ্ন স্পষ্ট বুঝা গেলেও আমরা কাউকে পাইনি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসলিম বলেন, টিলার মাটিকাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি উপজেলার কোথাও টিলা কাটা হলে প্রশাসনকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পঞ্চবানী.কম এ  লিখতে পারেন আপনিও। খবর, ফিচার, ভ্রমন, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি, খেলা-ধুলা। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন   newsdeskpb@gmail.com   ঠিকানায়।