প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষক পদে ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সব ধাপ প্রায় শেষের পর্যায়ে। যদিও প্রথম দিকে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রাথমিকে শূন্যপদ এবং চাহিদার বিবেচনায় এই পদের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৮ হাজার করার বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম দিকেই শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও শেষ করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ফল ঘোষণা করে ডিসেম্বর থেকেই পর্যায়ক্রমে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া শুরু হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর প্রাথমিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়। আবেদন গ্রহণ শেষ হয় ২৪ নভেম্বর। ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদের বিপরীতে আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। সূত্র আরো জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। আর চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের যোগদান কার্যক্রম শুরু হবে ডিসেম্বর থেকে।
জানা গেছে, আগামী ১২ অক্টোবর দিনাজপুরে তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এর মাধ্যমে সারা দেশের সব জেলার দুই ধাপের পরীক্ষা শেষ হবে। চূড়ান্ত ধাপে পাস করা প্রার্থীদের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ১ ডিসেম্বর থেকে যোগ্য প্রার্থীদের যোগদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানায়, চলমান নিয়োগের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এর বাইরে অনুমোদিত ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। সারা দেশে মোট ৫৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিতে ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই বছর পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তিন ধাপে দেশের ৬১টি জেলায় লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়। এরপর ধাপে ধাপে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ শেষে শুরু হয় মৌখিক পরীক্ষা।
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পঞ্চবানী.কম এ লিখতে পারেন আপনিও। খবর, ফিচার, ভ্রমন, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি, খেলা-ধুলা। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন newsdeskpb@gmail.com ঠিকানায়।