বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী করোনা টিকার বিশেষ ক্যাম্প শুরু হয়েছে। তারই দ্বারাবাহিকতায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: দোলোয়ার হোসেন এর দিক নির্দেশনায় উপজেলার কোভিড-১৯ প্রতিরোধে গণ টিকা/বিশেষ ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রল) ডা: শাহরিয়ার রহমান শুভ ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট( এমপিইপিআই) তপন জ্যোতি ভট্রাচার্জ।
বৃহম্পতিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ ঘটিকা হইতে উপজেলার বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ১ম,২য় ও ৩য় ডোজ(বুস্টার ডোজ) প্রদান করা হয়েছে। পরিদর্শন কালে টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি), স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ), পরিবার কল্যাণ সহকারী(এফডব্লিউএ)। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৩৩ টি টিকাদান কেন্দ্রে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তথ্য অনুয়ায়ী ৩৩টি টিকা কেন্দ্রে প্রথম ডোজ ৭৯৫ , দ্বিতীয় ডোজ ২৫৯৬,তৃতীয় ডোজ ৫২৯৫ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।
আগামী ১ অক্টোবর যে সকল কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে: আলীনগর এফডব্লিউসি, শিকারপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, আকাখাজনা কমিউনিটি ক্লিনিক, মাথিউরা কমিউনিটি ক্লিনিক, সানেশ্বর কমিউনিটি ক্লিনিক, ছোট দেশ কমিউনিটি ক্লিনিক। ২ অক্টোবর যে সকল কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে: গয়লাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, শেওলা এফডব্লিউসি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পাতন কমিউনিটি ক্লিনিক, জলডুপ কমিউনিটি ক্লিনিক। ২ অক্টোবর যে সকল কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে: করগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিক, পইলগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিক, দুবাগ এফডব্লিউসি, তেরাদল কমিউনিটি ক্লিনিক, খশিরবন্দ কমিউনিটি ক্লিনিক, রায়বাসী কমিউনিটি ক্লিনিক, দাসউরা এফডব্লিউসি, নয়াগ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিক।
জানাযায়, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে রাজধানীসহ সারাদেশে আবারও টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। কর্মসূচি চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এদিকে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩২ জন।
আর দেশে টিকা কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৩ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার ৩৬৮ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ১৭ লাখ ৬৫ হাজার ৪০৯ জন মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৩ অক্টোবরের পর আর প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে না। এই ক্যাম্পেইনে প্রথম ডোজ না পাওয়া ৩৩ লাখ ও দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া ৯০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চায় সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক বলেন, আগামী ৩ অক্টোবরের পর আর প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে না। তাই যারা এখন পর্যন্ত প্রথমে ডোজের টিকা নেয়নি তাদেরকে টিকার আওতায় আনতে বিশেষ এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সারা দেশে আগে থেকে যেসব কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল, সেগুলোতে টিকাদান অব্যাহত থাকবে। যেমন প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ড। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিতে হবে। অন্যথায় পরে আর প্রথম ডোজ নেওয়া যাবে না।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী করোনা টিকার বিশেষ ক্যাম্প শুরু হবে। এরপর থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ অনেক ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে, অনেক ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ। ফলে অক্টোবরের পর আমাদের কাছে হয়তো প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য ভ্যাকসিন থাকবে না। তাই অক্টোবরের পর টিকা নাও পেতে পারেন। এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ১১ অক্টোবর থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শুরু হবে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের কোভিড টিকাদান কার্যক্রম।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনা টিকার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। এরপর থেকে টিকাদান অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়াও গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গণটিকা ক্যাম্পেইন শুরু করেছিল সরকার। ওই সময় দেশব্যাপী একযোগে ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পঞ্চবানী.কম এ লিখতে পারেন আপনিও। খবর, ফিচার, ভ্রমন, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি, খেলা-ধুলা। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন newsdeskpb@gmail.com ঠিকানায়।