কমিউনিটি ক্লিনিক জাতিসংঘ কর্তৃক মডেল, “দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ” হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশ সিএইচসিপি এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে আনন্দ র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার(২জুন) সকাল ১০.০০ ঘটিকায়, বাংলাদেশ সিএইচসিপি এসোসিয়েশন কেন্দ্রিয় সংসদের নির্দেশনায়, চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবনী “কমিউনিটি ক্লিনিক” জাতিসংঘ কর্তৃক মডেল, “দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ” হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায়, গ্রামীন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপিদের দীর্ঘ ১২বছর ধরে নিরন্তন স্বাস্থ্য সেবা প্রধানে আন্তর্জাতিক ভাবে সফলতা অর্জন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সকল সিএইচসিপিদের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ র্যালী বের করা হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয় থেকে র্যালী শুরু হয়ে, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন অফিস পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। র্যালী পরবর্তী সকাল ১১.০০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের এমওসিএস ডাঃ নুরুল হায়দায়, সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ সিএইচসিপি এসোসিয়েশন কেন্দ্রিয় সংসদের সাধারন সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি মোঃ নঈম উদ্দিন, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সিএইচসিপি এসোসিয়েশ চট্রগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক জরিপ হোসেন আপন। অনুষ্ঠান সফল করার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলার নেতৃবৃন্দ সহ সকল সিএইচসিপি ভাই-বোনদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রস্তাবিত রেজুলেশনটিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগকে দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ হিসেবে উল্লেখ করেছে যা প্রধানমন্ত্রীর এবং বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের।
প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী চিন্তা, মেধা, প্রজ্ঞা, সাহস ও যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। চিকিৎসাসেবা জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে বলেন, দেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো স্বাস্থ্য খাতেও লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া।
তারা আরোও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত ১০টি বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ কার্যক্রম এবং তার এই উদ্যোগ আজ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।
দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন, জীবনমান বৃদ্ধি ও সার্বিক জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলেও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ উদ্যাগের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফসল।
বিশ্বের যেসব দেশে স্বাস্থ্যসেবা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় সেসব দেশে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ মডেল হিসেবে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পঞ্চবানী.কম এ লিখতে পারেন আপনিও। খবর, ফিচার, ভ্রমন, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি, খেলা-ধুলা। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন newsdeskpb@gmail.com ঠিকানায়।