ডেক্স নিউজ:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিরি পুতিন ইউক্রেইন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে তিনি বলেন, রাশিয়া-সমর্থিত বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে যারা ইচ্ছুক তাদেরকে আসতে দেওয়া উচিত।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগু বলেছেন,রাশিয়া সমর্থিত বাহিনীর পাশাপাশি লড়তে মধ্যপ্রাচ্যে ১৬,০০০ স্বেচ্ছাসেবী আছে।
এই স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে দক্ষ সিরীয় যোদ্ধারা থাকতে পারে, বলছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
সিরিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র দেশ রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রধান সমর্থক।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে পুতিন বলেছেন, “আপনি যদি দেখেন এমন মানুষ আছে যারা অর্থের জন্য নয়, বরং দনবাসে মানুষকে সাহায্য করার জন্য নিজের ইচ্ছায় লড়তে আসতে চায়, তাহলে তারা যা চায় তা করতে দেওয়া এবং তাদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে সাহায্য করা প্রয়োজন।”
ইউক্রেইনে রাশিয়ার বাহিনী নতুন নতুন নিশানায় হামলা চালানো শুরু করার পর পুতিন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠক করেন। বৈঠকটি টিভিতে সম্প্রচার করা হয়।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেইনের উত্তরপশ্চিমে লুৎস্কে একটি বিমানপোত এবং জঙ্গিবিমান কারখানাকে নিশানা করে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। দক্ষিণপশ্চিমেরও একটি বিমানপোতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। পূর্ব ইউক্রেইনের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রধান ঘাঁটিতেও বিমান হামলা হয়েছে। সেখানে একজন নিহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া সম্প্রতি সিরিয়া থেকে যোদ্ধা নিয়োগ করছে। শহরের যুদ্ধে এই যোদ্ধদের দক্ষতা ইউক্রেইন সরকারের ধ্বংস ডেকে আনা এবং রাজধানী কিইভ দখলের লড়াইয়ে সহায়ক হবে বলে রাশিয়া আশা করছে।
এর আগে পেন্টাগনের একজন ঊধ্র্বতন কর্মকর্তাও বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেইনে লড়াইয়ের জন্য সিরিয়ানদের নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
বিবিসি-র খবরে বলা হয়, ইউক্রেইনের পক্ষেও এখন কিছু ভাড়াটে যোদ্ধা আসতে শুরু করেছে। কিছু মার্কিন ও ব্রিটিশ সাবেক সেনা ইউক্রেইনে যুদ্ধ করতে আসছে বলে শোনা যাচ্ছে।
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পঞ্চবানী.কম এ লিখতে পারেন আপনিও। খবর, ফিচার, ভ্রমন, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি, খেলা-ধুলা। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন newsdeskpb@gmail.com ঠিকানায়।